নিজস্ব প্রতিবেদক:
মোবাইল চুরির ঘটনায় প্রতিবাদ করায় জামাল ও তার সহযোগীরা বেদম পিটিয়েছে কামরুল হোসেন সহ দু’জনকে। ২৭মে দুপুরে সদর থানার মাধপকাটি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সদর থানার বলাডাংগা গ্রামের মিজানুর রহমানের পুত্র মিম ও আব্দুল বারির পুত্র কামরুল হোসেন মোবাইল চুরির ঘটনায় প্রতিবাদ করলে তাদেরকে মারপিট করা হয়। একই গ্রামের সলেমান সরদারের পুত্র জামাল এবং জামালের পুত্র ইমান ও মেহেদী, রজব আলীর পুত্র মিজানুর মারপিট করে মিম ও কামরুল হোসেনকে। রড, রামদা, হাতুড়ি ও লাঠি নিয়ে হামলা চালায় তারা। মাধবকাটি গ্রামের আলিমদ্দির পুত্র আফ্রিদির মোবাইল চুরি হলে জামাল উদ্দীনের পুত্র মেহেদীর কাছ থেকে তা উদ্ধার হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদ করলেই তারা দু’জনকে মারপিট করে। এদিকে মারপিটের ঘটনার পর কামরুল হোসেন বাদী হয়ে থানায় এজাহার দিতে গেলে ডিউটি অফিসার তা গ্রহণ করেননি। তবে হামলাকারী জামাল হোসেন বাদী হয়ে মিম ও কামরুল হোসেনকে আমামী করে থানায় একটি এজাহার দিলে এসআই রশিদ তদন্তে মাঠে নামেন। তিনি তদন্তের নামে হামলার শিকার কামরুল হোসেনকে মরতে উদ্যত হন এবং মিম এর পিতা মিজানুর রহমানকে কানে চড় মারতে যান।
কামরুল হোসেন জানান, হামলার সময় জামাল হোসেন, মেহেদী হাসান, ইমান আলী, মিজানুর রহমান মিলে আমার কাছে থাকা বিকাশ কোম্পানী ও নিজের ত্রিশ হাজার টাকা লুটে নেয়। এছাড়াও মিমের পকেট থেকে দশহাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এ বিষয়ে কামরুল হোসেন সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
চুরির ঘটনায় প্রতিবাদ করায় ২জনকে মারধোর করে উল্টো থানায় অভিযোগ
পূর্ববর্তী পোস্ট