নিজস্ব প্রতিবেদক: কলারোয়া উপজেলার মুরারীকাটি গ্রামের রনজিৎ মন্ডল(৪০)। জেলার বিভিন্ন বাজারে ফেরি করে মাছ বিক্রি করতো। ২০১৪ সালে পেশা পরিবর্তন করে সাাতক্ষীরা সদর উপজেলার দেশি মদের দোকানে (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অনুমোদিত) কর্মচারী হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর থেকে জেলা মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে অবৈধ ভাবে উক্ত দোকানের অর্ধেক মালিক হন (যদিও মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের আইন অনুযায়ী মালিকানা বিক্রির নিয়ম নেই) এরপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দেশি মদে পানি মিশিয়ে, অবৈধ ভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি বিক্রিসহ নান অনিয়ম করে মাছ বিক্রেতা থেকে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন রনজিৎ মন্ডল। কলারোয়া পৌর সদরের মুরারিকাটী গ্রামে গড়ে তুলেছেন বিলাশ বহুল বাড়ি, মালিক হয়েছেন ৪টি ট্রাকের। এছাড়াও রয়েছে ১টি মাইক্রো বাস, ২টি মোটরসাইকেলসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বসত ভিটা ও চাষাবাদের জমি। আর এসব রক্ষা করতে গড়ে তুলেছেন এলাকার কয়েকজন সন্ত্রাসীদের নিয়ে একটি স্বসস্ত্র বাহিনী। মুলত তারই এলাকায় অবৈধ কাজের রক্ষক হিসেবে কাজ করেন। সাতক্ষীরা জেলা মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে কামিয়েছেন কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
রনজিৎ মন্ডল কলারোয়া উপজেলার মুরারিকাটী গ্রামের মৃত নিরঞ্জন মন্ডল ওরফে নাড়ুর ছেলে। আসল নাম রনজিৎ মন্ডল হলেও ঝাউডাঙ্গা বাজারে ৩নং গলির রনর বাহিনী প্রধান হিসেবে পরিচিত। দলীয় কোন পরিচয় না থাকলেও ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতার আশীর্বাদ নিয়ে তিনি মদের ব্যবসায় প্রভাব দেখিয়ে চলেন।
ঝাউডাঙ্গা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির একাধিক নেতা জানান, এক সময় মাছ বিক্রি করে সংসার চালালেও সাতক্ষীরা সদরের অপর দোশি মদের দোকান মালিকের হাত ধরে জেলা মাদক দ্রব্য অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে প্রশাসনিক
জগতে পরিচয় ঘটে রনজিতের। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্যবসা করে মাত্র চার বছরে কোটি টাকার মালিকহয়েছেন তিনি। তারা আরো বলেন, প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের সঙ্গে মাসিক চুক্তির মাধ্যমে দেশি মদের (অনুমোদিত) ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ব্যবসা করে একক আধিপত্য গড়ে তুলেছেন রনজিৎ। অনেক সময় তার দােকানে সাদা পোশাকে প্রশাসনের লোক পরিচয়ে ঘোরাঘুরি করে। যার কারনে সাধারণ মানুষ
ভয়ে তার বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে সাহস পায়না। স্থানীয়রা জানান, অবৈধ ব্যবসার কারনে জেরা প্রশাসন একাধিকবার জরিমানা করলেও তার বাহিনীর সহায়তায় পুনরায় সক্রিয় হয়ে ওঠেন।
সম্প্রতি দেশি মদের দোকান নিজ নামে করার চেষ্টা ও জোরপুর্বক বন্ধ রাখায় আলোচনায় উঠে আসে রনজিৎ মন্ডলের অবৈধ কার্যক্রমের বিষয়ে। স্থানীয় এলাকাবাসী উক্ত দোকান বন্ধ করে দেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা
করেছেন। এদিকে রনজিৎ মন্ডল এসব অভিযােগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, আমার ব্যবসার সাফল্য দেখে একটি কু-চক্রী মহল সাংবাদিক ভাইদের মিথ্য তথ্য সরবরাহ করছে।
(অনুসন্ধান চলছে, অনিয়মের আরো খবর নিয়ে আসছি..প্রিয় পাঠক চোখ রাখুন দৈনিক সাতনদীতে)