সর্বাপেক্ষা বড় উপজেলা শ্যামনগর ও কালিগঞ্জের একাংশ নিয়ে সাতক্ষীরা-৪ সংসদীয় আসন। এই আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার। সাতনদীর সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে এস, এম জগলুল হায়দার এমপি তুলে এনেছেন তার নির্বাচনী এলাকা শ্যামনগর ও কালিগঞ্জের উন্নয়ন কার্যক্রম। তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান সরকারের মেয়াদেই নাভারন মুন্সিগঞ্জ রেললাইন, পর্যটন কেন্দ্র সহ টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে। যোগ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছার কারণেই এসব সম্ভব হবে। সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দারের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন হাবিবুর রহমান ও সাতনদীর বিশেষ প্রতিনিধি শেখ আব্দুল হাকিম।
প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছার কারণেই কাংখিত উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে- জগলুল হায়দার এমপি
বঙ্গোপসাগর উপক‚লবর্তী এবং সুন্দরবনের কোলঘেষে অবস্থিত বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের সংসদীয় আসন-৪ এর টানা ২ বারের সংসদ সদস্য হয়ে জনগণের কাংখিত উন্নয়ন করতে পেরেছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে এস এম জগলুল হায়দার এমপি বলেছেন, কাংখিত উন্নয়ন এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছার কারণে নাভারন হতে মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত রেল লাইনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। ইতোমধ্যে সার্ভেসহ আরও অনেক কার্যসম্পাদন হয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে রেল লাইনের কাজ শেষ হবে আশা করছি। পাশাপাশি সুন্দরবনে পর্যটন কেন্দ্রের কাজও প্রক্রিয়াধীন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সর্বশেষ ——– গত———-এ শ্যামনগর নকিপুর হরিচরণ (এইচি) পাইলট হাইস্কুল মাঠে জনসভায় বক্তবে সাতক্ষীরা জেলার মেগা প্রকল্পের ঘোষনা দেন। তার মধ্যে রেললাইন, পর্যটন কেন্দ্র, বেসকারী স্কুল কলেজ সরকারীকরণ ছিল অন্যতম।
ইতোমধ্যে জাতীয়করণ করা হয়েছে শ্যামনগর মহাসীন ডিগ্রি কলেজ, শ্যামনগর হরিচরন (এইচ.সি) মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কালিগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ও কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
এছাড়া শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, উভয় উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ নির্মাণ, অর্ধশতাধিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও প্রাইমারী স্কুলের ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। দু’ উপজেলায় ৪০টি সাইক্লোন সেন্টার নির্মান করা হয়েছে। ৫০টির মত রাস্তার কার্পেটিং করা হয়েছে।
দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস কারীদের দুঃখ দুর্দশার বিষয়ে এস এম জগলুল হায়দার সাতনদীকে জানান, বর্তমানে কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার শতভাগ মানুষ বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় এসেছে। বর্তমান অর্থ বছরে উভয় উপজেলার মানুষ শতভাগ বিদ্যুৎ পাবে।
তিনি তার পরিবারের কথা যোগ করে বলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল জলিল আমার পিতা। তিনি কোটি টাকা দামের ১ বিঘা জমি দান করেছেন। সেখানে সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তার স্ত্রী ও তার নামে ফতেমা জগলুল প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে, যা অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। উভয় উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ ও উদ্বোধন করার কথাও তিনি যোগ করেন। একাধিকবার মহান জাতীয় সংসদে রেললাইন, টেকসই বেড়িবাধ ও পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের জন্য তিনি বক্তব্য রেখেছেন বলে যোগ করেন। মহামারী করোনা নিয়ে তিনি সাতনদী কে বলেন, সরকার গৃহীত সকল প্রকার সচেতনামূলক প্রগ্রাম সরকারীভাবে পালন করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আম্পানের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে তিনি বলেন অবর্ণনীয় ক্ষতি হয়েছে। বেড়িবাধ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় পানিতে গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনী, কাশিমাড়ী ও রমজাননগর ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। এতে মাছের ঘের ফসলের জমি ও রাস্তা ঘাটের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছার কারণেই কাংখিত উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে- জগলুল হায়দার এমপি
পূর্ববর্তী পোস্ট