আহাদুর রহমান: সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপি (পাবলকি প্রসকিউিটর) এ্যাড. আব্দুল লতিফের অনয়িম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। রোববার সকাল ১০টায় জজকোর্টের শহীদ মিনার পাদদেশে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতত্বি করনে, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাবকে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এবং সাবেক অতিরিক্ত পিপি এ্যাড. আজহার হোসনে। বক্তব্য রাখনে, এ্যাড. জেড আই আব্দুল্লাহ মামুন, এ্যাড. রফকিুল ইসলাম, এ্যাড. রায়হান আলী, এ্যাড. সাহেদুজ্জামান সাহেদ ও এ্যাড. রফকিুল ইসলাম প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, এ্যাড. আব্দুল লতিফ অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি র্কমর্কতা নিয়োগের নামে ঘুষ গ্রহণ করে এবং জননত্রেী শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলা মামলার আসামীদের পক্ষের আইনজীবীকে পুরস্কৃত করে অতিরিক্ত পিপি নিয়োগ প্রদান করেছেন। তিনি পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বঞ্চতি করে স্বাধীনতা বিরোধীদের সরকারি আইন র্কমর্কতা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। আর এই নিয়োগে লক্ষ লক্ষ টাকা বাণিজ্য করছেনে তিনি। বক্তারা আরো বলেন, এ্যাড. লতিফের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি খাটাল লতফি নামে বিশেষভাবে পরচিতি। ভারত থেকে সীমান্ত পথে অবৈধ মালামাল পারাপারসহ বিভিন্নœ অভিযোগ থাকার পরও মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তিনি পিপি হয়েছে।
পিপি হয়ে তিনি স্বাধীনতা বিরোধীদের পক্ষ নিয়েছেন। তারা অবিলম্বের ওই পিপি এ্যাড আব্দুল লতিফের পদত্যাগের দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এছাড়া একই দাবিতে ২৮ সেপ্টেম্বর সোমবার একই স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি এ্যাড আব্দুল লতিফ জানান, এই প্রতিবাদ সমাবেশে তারা ৬ জন মিলে তিনজন এমপি সহ জিপি, পিপি, স্পেশাল পিপিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে প্িরতবাদ সমাবেশ করার চেষ্টা করেছে। দেখা যায় যে, এ্যাড. আজহারুল ইসলামের দুর্নীতির দায়ে মাননীয় বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব নোটারী পাবলিক লাইসেন্স বাতিল করেন। মোশারফ হোসেন সিদ্দিকী মোবাইল কোর্টে ১৪ দিন সাজা প্রাপ্ত হয়। এ্যাড. সাহেদুজ্জামান সাহেদ ও এ্যাড. রায়হান আলী সরাসরি নাশকতা মামলার আসামীদের আশ্রয় ও মদদ দাতা হওয়ার কারণে বর্তমানে আমি তাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করার কারনে তারা মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে প্রতিবাদ করেছে মাত্র। বর্তমান পিপি যখন নাশকতা মামলার ট্রায়ালের ক্ষেত্রে কোন ধরণের ছাড় দেন না। ঠিক তখনই সম্পূর্ণ মিথ্যা উক্তি দিয়ে তারা আমার সম্মান হানি করার চেষ্টা করেছে। যা আমিসহ সকল আইনজীবী তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। উল্লেখ থাকে যে, এই ৬ জন আইনজীবীদের পিছনে সাবেক পিপি ওসমান গণি জড়িত। তিনিও নাশকতা মামলার আসামীদের প্রশ্রয় ও মদদ দাতা। যে কারণে বর্তমান সরকার আইনজ্ঞ নাশকতার মামলার আসামীদের আশ্রয় দেওয়ার কারণে তাকে পিপি পদ থেকে সরিয়ে দেয়।