নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৩ সালে জামায়াত-শিবিরের তান্ডব হয়েছিল যে মাওলানা রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে সেই জামায়াত নেতা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ম্যানেজ করে দলে যোগ দিয়েছে। এ নিয়ে এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম ফয়জুল্যাহপুর গ্রামের মোঃ সোবহান সরদারের পুত্র মাওলানা রবিউল ইসলাম গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন। যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল কাদের মোল্যা, সাধারণ সম্পাদক গোপাল মন্ডল, আব্দুল গণি মুহুরী, বিমল মন্ডল, অবিনাশ মন্ডল, আলহাজ্ব ডাঃ এমাদুল হক, ঠাকুর দাশ বসাক, আব্দুল খালেক, হুদা কারিকর, আহসান উল্যাহ প্রমূখ।
মাওলানা রবিউল ইসলাম বর্তমানে ফয়জুল্যাহপুর এবতেদায়ী মাদ্রাসার সুপার ও পূর্ব ফয়জুল্যাহপুর জামে মসজিদের ইমাম এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ ভিত্তিক কার্যক্রমের শিক্ষক।
মাওলানা রবিউল ইসলাকে মোবাইল ফোনে জামায়াত থেকে আ’লীগে যোগ দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করতেই হাসতে হাসতে এ প্রতিবেদককে জানান, বর্তমান সরকারের কর্মকান্ড ভাল লেগেছে, ইচ্ছা হলো তাই যোগ দিলাম।
যোগদানের বিষয়ে ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোপাল মন্ডল জানান, মাওলানা রবিউল জামায়াতের সদস্য ছিল এটা সঠিক। অনেক দিন ধরে দলে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করায় আলোচনার মাধ্যমে তাকে দলে নেওয়া হয়েছে।
৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল কাদের মোল্যা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফিংড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির সাথে পরামর্শ করে রবিউলকে দলে নিয়েছি। চিহ্নিত জামায়াত কর্মী ছিল এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এটা আমার জানার বাইরে। তবে গত সংসদ নির্বাচনের পর থেকে রবিউল আ’লীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আসছে এটাও জানান তিনি।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে সুপারভাইজার পদে নিয়োগ পেতে মাওলানা রবিউল ইসলামের দরকার একটি আওয়ামী লীগের দলীয় প্রত্যয়ন। মূলত এই স্বার্থ উদ্ধার করতে পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছে।
অপর একটি সূত্র জানায়, মাওলানা রবিউল ইসলাম ২০১৩ সালে জামায়াত-শিবিরের তান্ডব চালালেও সেবারও এলাকার কতিপয় ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে নাশকতা মামলা থেকে রেহাই পায়।
রবিউলের যোগদানের খবরে এলাকার আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
ফিংড়ীতে চিহ্নিত জামায়াত নেতার আওয়ামী লীগে যোগদান
পূর্ববর্তী পোস্ট