নিজস্ব প্রতিবেদক:সাতক্ষীরায় নির্বাচন কেন্দ্রিক কথাকাটাকাটি ও ধ্বস্তাধ্বস্তির জেরে প্রতিপক্ষকে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তুচ্ছ এ ঘটনায় থানা মামলা না নিলেও কোর্টে মামলা দিয়ে হয়রানী করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। ঘটনার বিবরনে প্রকাশ, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বলাডাঙ্গা গ্রামে আসন্ন ইউপি নিবার্চনকে কেন্দ্র করে কথাকাটাকাটির একপর্যায়েধ্বস্তাধ্বস্তি সংগঠিত হয়।বলাডাঙ্গার মেম্বর প্রার্থী আজারুল ইসলাম ওরফে বাবলু সমর্থক তরিকুল ইসলাম ও একই এলাকার মেম্বর প্রার্থী মাহামুদুর রহমান স্বপন সমর্থকজাহিদুল ইসলাম আসন্ন ইউপি নির্বাচনের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যয়ে ধ্বস্তাধ্বস্তির করে। গত শনিবার (১৩মার্চ) রাত্র ৯টার দিকে সাইদুরের বাড়ীর পার্শ্বে রাস্তার উপর লাইট পোষ্টের নিচে সংঘটিত উক্তধ্বস্তাধ্বস্তির পর এলাকাবাসীরআস্থা অর্জন করতে জাহিদুলকে হাসপাতালে ভর্তি করে স্বপন। পরবতর্তীতে জাহিদুলের স্ত্রীর মনজুয়ারাকে বাদী করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানী ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে সাতক্ষীরা আমলী ১নং আদলতে মামলা করার চেষ্টা চালাতে থাকে।
তথ্যানুসন্ধানে জানাযায়, বালাডাঙ্গা গ্রামের জাহিদুলের স্ত্রী মনজুয়ারা সাতক্ষীরার লাবসা ইয়াকিন পলিমার লিমিটেডেশ্রমিক হিসেবে কাজ করে।ঘটনার দিন রাত্র ৮টার সময় সে তার কর্মস্থলে যোগদান করে। একপর্যায়েতার স্বামীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে মর্মে খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফ্যাক্টারি থেকে ছুটি নিয়ে সে হাসপাতালে যায়। এ ব্যাপারেসরেজমিনে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানাযায়, ঘটনার দিন মূলত: নিবার্চন কেন্দ্রিক কথাকাটাকাটি ও ধ্বস্থাধ্বস্তির ঘটনা ঘটে।
তবে ঘটনা সর্ম্পকে বলাডাঙ্গা গ্রামের মৃত সৈয়েদ আলীর পুত্র জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমিমেম্বর প্রার্থী স্বপন সাথে ঘুরি বলে আমাকে মারপিট করেছে। আর জাহিদুলের স্ত্রী মনজুয়রার বলেন, ঐদিন রাত সাড়ে ১২ টায় মোটরসাইকেলযোগে হাসপাতালে যাই, পরদিন সকালে বাড়ীতে কাপড় আনতে গেলে তারা আমার শাøীলতাহানীর হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে, বলাডাঙ্গা গ্রামের মৃত রজব আলী বিশ্বাস মেয়ে ইয়াকিম পলিমার লিঃ এর শ্রমিক সেলিনা খাতুন বলেন, ঘটনার সময় মনজুয়ারা সহ আমরা একই সাথে ফ্যাক্টিরিতে ছিলাম। বলাডাঙ্গা গ্রামের, সাইদুর রহমান বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম, চেচামেচি শুনে আমি ও আমার পুত্র যেয়েতাদের মাঝে ধ্বস্তাধ্বস্তি হতে দেখি। পরে তাদেরকে ফাঁকা করে দিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করি। শ্লীলতাহানী ও চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এ বিষয় আমার জানা নেই, তবে মিথ্যা ছাড়া মামলা হয় না। মন্জুয়ারার ছুটিরবিষয়ে জানতে চাইলেইয়াকিম পলিমার লিঃ এর ইনর্চাজ মুটোফোনে জানায়, ঐদিন সে কর্মস্থলে ছিল এবং রাত্রে ছুটি নিয়ে চলে যায়।
এ বিযয়ে ঝাউডাঙ্গা ইউপির ৭নং ওয়ার্ড মেম্বর প্রার্থী মৃত মতিয়ার রহমানের পুত্র মাহামুদুর রহমান স্বপন বলেন, রাত্রে আমরা এক সাথে কথা বলছিলাম, এর মধ্যে কথাকাটাকাটি ও ধ্বস্থাধ্বস্তি শুরু হয়, আমি তাদেরকে থামিয়ে দেই।
এ ব্যাপারে একই ওর্য়াডের মেম্বর প্রার্থী আজহারুল ইসলাম বাবলুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না, তবে জানার পর আমি যেয়ে মিমাংসা করার চেষ্টা করি।
বলাডাঙ্গায় নিবার্চনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষকে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা
পূর্ববর্তী পোস্ট