ইমান আলী:সর্বনাশা মাদক ধ্বংস করে একটি মানুষের শরীর, মন, জ্ঞানবিবেক ও তার জীবনের সাথে জড়িয়ে থাকা তার পরিবারের সকল স্বপ্নকে, এবং তার ঊজ্জ্বল ভবিষ্যতকে। শুধু পরিবারকে নয় মাদকের কালো থাবা ধ্বংস করে একটি সমাজকে, একটি জাতীকে এবং পরবর্তীতে ধীরে ধীরে এটি বৃহৎ আকার ধারন করে একটি রাষ্ট্রকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়।এমন একটি কাহিনীও সংলাপ নিয়ে সোমবার রাতে বাঁকাল খেয়াঘাট সার্বজনীন কালি মন্দিরে শ্যামা কালি পুজা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার মঞ্চে, বাঁকাল যুব কমিটির সার্বিক ব্যাবস্হাপনায়,শ্রী সুশান্ত কাজীর পরিচালনায় অত্র এলাকার তরুন যুবকদের নিয়ে একটি গণসচেতনতামুলক মঞ্চ নাটকের আয়োজন করা হয়। নাটকের নাম ‘মাদককে না বলো, এ সময় উপস্হিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ভাইস চেয়্যারম্যান তানভীর হুসাইন সুজন।তিনি এমন ধর্মীয় ও গনসচেতনতাসুলক অনুষ্ঠানে সর্বদা বাঁকালবাসীর পাশে থাকার আশ্বাস দেন। নাটকের মাধ্যমে বোঝানো হয়, সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।প্রকৃতপক্ষে একজন মানুষ সর্বপ্রথম বন্ধুদের নিকট থেকেই মাদক সেবনের নেশাটি নেওয়া শুরু করে। আস্তে আস্তে মাদকের প্রতি সে আসক্ত হয়ে পড়ে। বেশি আসক্ত হয়ে পড়লে তাকে আর মাদকের সর্বনাশা ছোবল থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনাটা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এ ব্যাপারে পরিবারকে বেশি বেশি সচেতন হতে হবে। অভিভাবককে সন্তানের চলাফেরার প্রতি বেশি খেয়াল রাখতে হবে।
কেউ মাদকে আসক্ত হলে তাকে এর খারাপ দিকগুলো বোঝাতে হবে এবং প্রয়োজনে চিকিৎসার মাধ্যমে তাকে সুস্থ করে তুলতে হবে। খেলাধুলা বিনোদনসহ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলককাজে নিয়োজিত থাকতে তাকে উৎসাহী করতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে যে মাদকদ্রব্য সেবন বন্ধ করার জন্য নিজের ইচ্ছাই যথেষ্ট। মাদকদ্রব্য প্রসার রোধে এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।তাহলেই একটি সমাজ থেকে মাদক নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হবে।