নিজস্ব প্রতিবেদক: মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে পড়েছেন বাদী। প্রতিনিয়ত মাদক ব্যবসায়ীদের হুমকি ধামকি ও ষড়যন্ত্রে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ভুগছেন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায়। শনিবার এমটনাই দাবি করেছেন, কুশখালী গ্রামের মৃত. দাউদ আলী সরদারের পুত্র জিয়াউর রহমান সরদার।
তিনি জানান, কুশখালী গ্রামের শেহের আলীর পুত্র আ: সামাদ, আইজুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, মৃত নুর আলী গাজীর পুত্র আজগর আলী, আজগর আলীর পুত্র আসাদুল ইসলাম, রাজ্জাকের পুত্র জাকির হোসেন ও বাবলু সীমান্তের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তারা ভারত থেকে অবৈধ পথে মাদকের চালান আনা নেওয়া করে। তাদের এলাকায় যুব সমাজ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে পৌছে গেছেন। উল্লেখিত ব্যক্তিরা প্রায় সময় মাদকের চালান আনা নেওয়া করার সময় কুশখালী সীমান্তের পাশে জিয়াউরের ধানের জমির উপর দিয়ে বস্তায় ভরে টেনে নিয়ে আসার সময় ধানের ব্যাপক ক্ষতি করে। গত ১৯/০৩/২১ ও ২০/০৩/২১ তারিখে উল্লেখিতরাসহ কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ভারত থেকে অবৈধ মাদকের চোরাচালান নিয়ে আমার উক্ত সম্পত্তির উপর দিয়ে বাংলাদেশের প্রবেশ করে। এসময় তারা আমাদের লাগানো ফসলাদি নষ্ট করে মারাত্মক্ষতি করে। এঘটনায় জিয়াউরের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম ও ভাগ্নিনা শরিফুল প্রতিবাদ করলে মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার দাতা বাবুর উল্লেখিত লোকজন তাদের বেধড়ক পিটিয়ে ছোট ভাইয়ের হাত ভেঙ্গে দেয়। এঘটনায় জিয়াউর বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করে। যার নং- ৬৮/২১৮। এজাহার দায়েরের খবরে বাবু ও তার সহযোগীরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং খুন জখমসহ জিয়াউরদের বাড়িতে মাদক রেখে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করেন। এছাড়া বাবুর নেতৃত্বে তারবোনের বাড়ি ঘেরাও করে তাদের গৃহবন্দি করে রাখে। তখন তারা প্রস্তাব দেয় মামলা তুলে নিয়ে মিমাংসা করলে বোনের বাড়ির ঘেরা বেড়া তুলে দেওয়া হবে। সে কারনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেন।
গত ২৮/০৪/২০২১ কুশখালীতে কুশখালী ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদ ও ইউনিয়ন পরিষদের সকলের ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় গণ্যামান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শালিসী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আমি বাদী নিজেদের স্বার্থ ত্যাগ করে আপোষনামায় স্বাক্ষর করে। পরে পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বররা ওই ঘেরাবেড়া তুলে দেয়। কিন্তু শুধুমাত্র মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার দাতা একই এলাকার আহমদ আলীর পুত্র গোলাম মোস্তফা বাবু শালিসী না মেনে অকথ্য গালিগালাজসহ হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। সেসময় উপস্থিত ব্যক্তিবর্গকে অপমানিত করে। গোলাম মোস্তফা বাবুই কুশখালী সীমান্তের মাদক চোরাচালানীদের আশ্রয় দাতা।
এদিকে মামলার আসামীরা জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরে শেল্টারদাতা গোলাম মোস্তফা বাবুর নেতৃত্বে উক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা জিয়াউরকে মুর্মূহু হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। তার বলছেন মামলা তুলে না নিলে বাড়িতে মাদকের চালান রেখে পুলিশে ধরিয়ে দেবো, ফাকা পেলে খুন জখম করবো ইত্যাদি। এছাড়া বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। এতে জিয়াউর ও তার পরিবার বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। তিনি ওই মাদক ব্যবসায়ী এবং তার শেল্টারদাতার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।