বিনোদন ডেস্ক : মেয়ের এমন স’ম্পর্কে প্রিয়াঙ্কার মা বললেন, ‘আমা’র ভালো লেগেছে। পরার আগে ও আমাকে পোশাকটি দেখিয়েছিল। একটু ঝুঁ’কিপূর্ণ মনে হলেও ভেবেছি, ও ভালো’ভাবে সামলে নিতে পারবে। সে ছিল অন্যতম সেরা সাজে। এ নিয়ে আমি খুশি।’
এদিকে, মা’র্কিন এক সাপ্তাহিককে ৩৭ বছর বয়সী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বলেছেন, মূলত ওই পোশাক ‘অদৃশ্য’। আর রালফ অ্যান্ড রুশো যখন তাঁর পোশাক তৈরি করে, তখন তা সব সময় শ`রীরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। আসলে ‘ওয়ারড্রোব মালফাঙ্কশনস’ মূলত থাকে মানুষের ‘মনে’, এমনটাই মত তাঁর।
এবার মেয়ের সেই খো’লামে’লা পোশাক নিয়ে মুখ খু`ললেন প্রিয়াঙ্কার মা
‘দ্য স্কাই ইজ পিঙ্ক’ অ’ভিনেত্রী আরো বলেন, কোনো শোতে তিনি ‘ফ্যাশন রিস্ক’ নিয়ে চান না। শ`রীরের সঙ্গে সংগতি রেখেই পরেন পোশাক। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘যখন আমি কোনো পোশাক পরার সিদ্ধান্ত নিই, তখন সত্যিই এ নিয়ে সংশয় রাখি না। কারণ, যখন ঘর থেকে বের হই, আমি খুবই নিরাপত্তায় থাকি।’ এ তারকা আরো বলেন, ‘সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ছাড়া ঘর থেকে বের হই না।’
তবে ওয়ারড্রোব মালফাঙ্কশন যে হয় না তারকাদের, এমনটাও প্রিয়াঙ্কাও জানেন। আর তাই হেসে এ সুন্দরী বললেন, ‘আমি ওয়ারড্রোব মালফাঙ্কশন (পোশাক বিড়ম্বনা) পছন্দ করি না! কেউই তা করে না!’
প্রিয়াঙ্কাকে সর্বশেষ সোনালি বোস পরিচালিত ‘দ্য স্কাই ইজ পিঙ্ক’ ছবিতে দেখা যায়। সমা’লোচকদের প্রশংসা পেলেও বক্স অফিসে তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি ছবিটি।
আন্তর্জাতিক তারকা হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি আছে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার। ভারতের গণ্ডি পেরিয়ে অগণিত ভক্ত-অনুরাগীর প্রিয় এই তারকা কাজ করেছেন পাশ্চাত্যেও। এবার শোনা যাচ্ছে, কানাডার অ’ভিনেতা-সংগীতশিল্পী কিয়ানু রিভসের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘ম্যাট্রিক্স ফোর’ ছবিতে অ’ভিনয় করতে দেখা যাবে পিসিকে।
মা-বাবার ডিভোর্স, সৎমা ও মায়ের প্রেমিকের ব্যাপারে মুখ খুললেন আলিয়া
বলিউডে অভিষেকের জন্য মুখিয়ে আছেন নবাগত আলিয়া ফার্নিচারওয়ালা। এরই মধ্যে গণমাধ্যমের বেশ মনোযোগ পাচ্ছেন তিনি। এই উঠতি তারকা সম্প্রতি মুখ খুলেছেন পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে জানা যায়, বলিউড অভিনেত্রী পূজা বেদি ও ব্যবসায়ী ফারহান ফার্নিচারওয়ালার মেয়ে আলিয়া। ১৯৯৪ সালে বিয়ে হয় পূজা ও ফারহানের। যদিও নানা জটিলতায় ২০০৩ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। আর এই বিচ্ছেদসহ প্রাসঙ্গিক আরো নানা বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন আলিয়া।
খো’লামে’লা পোশাক নিয়ে- মেয়ের পোশাক নিয়ে যথেষ্ট সমালোচনা হলেও তা বেশ উপভোগ করেছেন বলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মা মধু চোপড়া। তিনি বলেছেন, প্রিয়াঙ্কার গ্র্যামির পোশাক তাঁর পছন্দের। সমালোচনা তাঁর মেয়েকে আরো শক্তিশালী করেছে।
হিন্দুস্তান টাইমস প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মধু চোপড়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, মেয়ের ওই পোশাক তাঁর ভালো লেগেছে। ওই আয়োজনের অন্যতম সেরা পোশাক ছিল সেটি।
সাদা রঙের নেকলাইন পোশাক পরে এবারের ৬২তম বার্ষিক গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন বিশ্বতারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। স্বামী নিক জোনাসের হাত ধরেই গ্র্যামির মঞ্চে হাজির হন এ অ’ভিনেত্রী। আর সেই পোশাকের কারণে অ’ন্তর্জা’লবাসীর তীব্র কটা’ক্ষের মুখে পড়েন সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী।
গ্র্যামির অনুষ্ঠানে প্রিয়াঙ্কা পরেছিলেন ‘রালফ অ্যান্ড রুশো’র গাউন, ঠিক যেমনটি ২০০০ সালে পরেছিলেন জেনিফার লোপেজ। লো-কাট পোশাক পরে লালগালিচায় যখন প্রিয়াঙ্কা হাঁটছিলেন, আলোকচিত্রীদের সমস্ত নজর পড়েছিল তাঁর ওপর। অবশ্য খোলামেলা পোশাকের কারণে কম সমা’লোচনা হয়নি অ’ন্তর্জা’লে।
পিসির পোশাক দেখে কেউ কেউ তাঁকে গা’লিগা’লাজও করেছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, ‘ভয়ং’কর পোশাক’ পরেছেন প্রিয়াঙ্কা। আবার কেউ বলেছেন, ডিজাইনার কী’ ভেবে প্রিয়াঙ্কার ওই পোশাক তৈরি করেছেন? ‘কুৎ’সিত’ বলেও মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ। কেউ কেউ বলেছে, ‘একটু বেশি হয়ে গেল!’
আলিয়া বলেন, ‘আমার বয়স তখন পাঁচ বছর। তাই অনেক কিছুই আমার মনে নেই। কিন্তু এর এক বছর পরের কথা আমার মনে আছে। আনন্দময় শৈশব ছিল আমার ও বাবা-মা উভয়েই দারুণ সময় পার করছিলেন। তাঁরা কখনোই আমাকে বুঝতে দেননি যে দুঃখজনক কিছু ঘটছে। এটি কেবলই একটি বিচ্ছেদ।’
বিচ্ছেদের পর ফাতিমা নামের এক নারীকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেছেন ফারহান। অন্যদিকে পূজার বাগদত্তার নাম মানেক কন্ট্রাক্টর। এ ব্যাপারে আলিয়া বলেন, “আমার বাবা আরেকটি বিয়ে করেছেন এবং জান নামে আমার আরেকটি ভাই রয়েছে। তাঁকে আমি আন্তরিকভাবে ভালোবাসি। মানুষ আমাকে প্রশ্ন করে, ‘তুমি কীভাবে তোমার সৎমায়ের সঙ্গে থাক?’ আমি তাঁকে পছন্দ করি। আমি অন্য কিছু জানি না। মানেকের সঙ্গেও আমার খুব ভালো সম্পর্ক। তাঁরা ভীষণ ভালো, সুখী মানুষ, তাই আমিও তাঁদের সঙ্গে সুখী।”
জওয়ানি জানেমান দিয়ে বলিউডে অভিষেক হচ্ছে আলিয়া ফার্নিচারওয়ালার। এতে আরো অভিনয় করেছেন সাইফ আলি খান।কয়েকদিন আগে প্রথম স্ত্রী অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের ব্যাপারে মুখ খোলেন সাইফ খানও। তিনি বলেন, ‘এটি দুনিয়ার সবচেয়ে বাজে বিষয়। এটি এমন একটি ব্যাপার, যার ব্যাপারে আমি এখনো ভাবি যে ভিন্ন কিছু হতে পারত। আমার মনে হয়, এই বিষয়ে আমি কখনোই ঠিক হতে পারব না।
আমি শান্তি অব্যাহত রাখার চেষ্টা করেছি ও নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে, তখন আমার বয়স ছিল ২০ বছর এবং আমি অনেকটা তরুণ ছিলাম। কিন্তু এরই মধ্যে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। আপনি খারাপ অনুভব করতে পারেন, কিন্তু এটি একটি অদ্ভুত ব্যাপার, কখনো কখনো আপনি তা কল্পনাও করতে পারবেন না।’