নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদরের ভোমরা ইউনিয়নের শাঁখরা কোমরপুর এজি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতা, উদাসীনতা ও দায়িত্ব অবহেলা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মানিত করায় তার বিরুদ্ধে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে ঐ এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধারা শাঁখরা কোমরপুর এজি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শরীফ আহমেদ ইকবাল’র বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ এনে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। সাতক্ষীরা সদরের ভোমরা ইউনিয়নের শাঁখরা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মুসা আমীন গাজী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর আলী গাজী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রফিক সরদার স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শাঁখরা কোমরপুর এজি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে বিগত বছরের ন্যায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় বিদ্যালয়ের ১ কিলোমিটারের মধ্যে আমরা ৬জন বীর মুক্তিযোদ্ধা বসবাস করি। বিগত সময়ে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকান্ডে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পৃক্ত করা হতো। কিন্তু এবছর উক্ত অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ না জানিয়ে আমাদেরকে অসম্মানিত ও অপমানিত করেছে। যেটি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বিজয়ের মাসে অত্যন্ত হৃদয় বিদারক। বিগত বছর গুলোতে নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটি আমাদেরকে পরীক্ষার ফলাফল প্রদান ও পুরস্কার বিতরণী সকল অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়ে সম্মানিত করতো। কিন্তু এবছর শাঁখরা কোমরপুর এজি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতা, উদাসীনতা ও দায়িত্ব অবহেলা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মানিত করায় আমরা ঐ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১৮/১২/২১ তারিখে এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবসীদের নিয়ে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছি। এছাড়াও আমাদেরকে সম্পৃক্ত না করে তার বিরুদ্ধে পছন্দমত ম্যানেজিং কমিটি গঠন করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে এবং করোনাকালীন সময়ে স্কুল ফান্ডের বহু টাকা আত্মসাৎ করেছে সে। এছাড়াও গত ১৩/১২/২০২১ তারিখে আমাদের উপস্থিতিতে ম্যানেজিং কমিটি গঠনকল্পে ৮জন মনোনয়ন পত্র ক্রয় করে এবং জমা দেয়। অথচ ১৫/১২/২০২১ তারিখে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে বাঁছাইয়ের সময় দেখা যায় ১৪জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছে এবং তাদেরকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এবিষয়ে শিক্ষা অফিসারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক জানে আমি কিছুই জানিনা। এবিষয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক শরীফ আহমেদ ইকবাল বলেন, এতে কোন অসুবিধা নেই। এসকল কর্মকান্ডে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা হয়েছে। এব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন তপশীল বাতিল করে ২৮/১২/২০২১ তারিখের নির্বাচন কার্যক্রম স্থগিত করে বিদ্যালয়ের শান্তি শৃঙ্খলা এবং শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী ও মুক্তিযোদ্ধারা।