শেখ আরিফুল ইসলাম আশা:
সাতক্ষীরায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতকসঈরায় জলাবদ্ধতা ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে উল্লেখ করে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বছরের ৬ থেকে ৮ মাস জেলার বেশীরভাগ এলাকা পানির নিচে থাকছে। তারা বলেন, বেতনা নদী কোনরকমে টিকে রয়েছে। অপরদিকে মরিচ্চাপ নদী মৃত্যুর প্রহর গুনছে। এছাড়া গলঘেশিয়া নদীর অকাল মৃত্যু ঘটেছে এবং খোলপেটুয়া নদীও পড়েছে মৃত্যুর মুখে। একারনে জলাবদ্ধতার প্রকোপ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তারা।
সাতক্ষীরার লেক ভিউ মিলনায়তনে শনিবার সকালে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় আলোচনা রাখতে গিয়ে বক্তারা আরও বলেন, সরকার এরই মধ্যে বেতনা ও মরিচ্চাপ নদীর মৃত্যু রোধ করে জনদুর্ভোগ কমাতে ৪ বছর মেয়াদী ৪৭৫ কোটি ২৬ লাখ টাকার বরাদ্দ দিয়েছেন। এতে জলাধার প্রকল্প না থাকায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে সরকারের প্রত্যাশা কতটুকু অর্জিত হবে এবং নদীর ভবিষ্যত কি হবে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন। এই প্রসঙ্গে তারা জলাধার প্রকল্প (টিআরএম বা টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট) বাস্তবায়নের দাবি জানান।
আলোচনায় উঠে আসে প্রকল্পের আওতায় ইছামতি নদীর সাথে লাবন্যবতী ও সাপমারা নদীর পুনঃসংযোগ করানো হলে মরিচ্চাপ, সালখালী, হাবড়া ও গুটিয়াখালী নদী সজীব হয়ে উঠবে। একইসাথে খোলপেটুয়ার নাব্যতারও সংকট দূর হবে। তারা জানান, দেশের দক্ষিন পশ্চিমা ল সাতক্ষীরা-যশোর-খুলনা জেলার এই অ লজুড়ে ৬০ লাখ লোকের বসবাস। অপরিকল্পিত চিংড়ী চাষের কারনে জলাবদ্ধতা বৃদ্ধির সাথে সাথে তাদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ছে।
বেসরকারি সংস্থা উত্তরনের পানি কমিটি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উত্তরন পরিচালক শহীদুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম, আবুল কালাম আজাদ, ফাহিমুল হক কিসলু, আনোয়ার জাহিদ তপন, হারুনার রশীদ, আজাদ হোসেন বেলাল, শাহনাজ পারভিন মিলি ও কোহিনূর ইসলাম প্রমুখ।