নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে মেডিকেল রিপোর্ট প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী নিত্য রঞ্জন ঘোষের অভিযোগ আর্থিক ভাবে লাভবান হয়ে দায়সারা মেডিকেল রিপোর্ট প্রদান করে আসামীদের বাচানোর চেষ্টা করছে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের দায়িত্বরতরা।
ভুক্তভোগী ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, একটি পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে গত ১৭জুলাই সকাল ৭টায় কুলতিয়ার মৃত কৃষ্ণপদ ঘোষের ছেলে নিত্য রঞ্জন ঘোষকে হত্যার উদ্দেশে হাসুয়া দিয়ে কোপ দেয় একই গ্রামের মৃত শুনীল কুমার ঘোষের ছেলে সুশংকর কুমার ঘোষ ওরফে কেনা। হাসুয়ার কোপ থেকে বাঁচার জন্য ঠেকাতে গেলে নিত্য রঞ্জনের হাতে ও শরীরে বিভিন্ন জায়গায় কেটে যায়। বিচ্ছিন্ন হয় একটি আঙুল। যার সত্যতা সে সময় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার সময় তোলা বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়। এই নির্মম ঘটনায় পরদিন সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে নিয়মানুযায়ী সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে জখমী রিপোর্ট সাতক্ষীরা সদর থানায় প্রেরণ করা হয়। কিন্তু এই নির্মম নির্যাতনের ঘটনা আড়াল করে ভোতা অস্ত্রে সাধারণ কাটা ছেড়া বলে রিপোর্ট প্রদান করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল। অন্যদিকে এই সত্য রিপোর্ট দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন থেকে জামিন লাভ করে মামলার একমাত্র আসামী সুশংকর কুমার ঘোষ ওরফে কেনা।
মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী নিত্য রঞ্জন ঘোষ জানান, টাকা পয়সার বিনিময়ে মিথ্যা রিপোর্ট প্রদান করে আসামীকে জামিন লাভ ও মামলা দূর্বল করতে সহযোগীতা করেছে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আমি এর আইনগত প্রতিকার চাইবো।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন এ বিষয়ে জানান আদালতের নির্দেশ পেলে ঘটনা পুনরায় তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ হবে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে মেডিকেল রিপোর্ট প্রদানে অনিয়ম
পূর্ববর্তী পোস্ট