নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের বালিথা গ্রামের মৃত মোহর আলীর স্ত্রী ভিক্ষুক ছখিনা খাতুন (৬৪) এক ছেলে এক মেয়ে, ছেলে বিয়ে করে আলাদা, মেয়েটা মানসিক প্রতিবন্ধী ও স্বামী পরিতাক্তা এই নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে ছখিনা খাতুন । তার সহায় সম্বল বলতে রয়েছে ৫ শতক জমির ওপরে একটি কুড়ে ঘর। সে পায়না কোন সরকারী অনুদান,নেই কোন ভাতার কার্ড। বাধ্য হয়ে ভিক্ষা বৃত্তিকে একমাত্র পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। সরজমিনে গিয়ে চোখে পড়ে তার এই করুন মানবতার জীবন যাপনের চিত্র। সরকারি কোন সহযোগিতা পায় কিনা জানতে চাইলে অশ্রু স্বজল চোখে ছখিনা খাতুন জানায়,শুনেছি জননেত্রী শেখ হাসিনা অসহায়,হত দরিদ্রদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা দিয়ে থাকেন। আমি আর কত দরিদ্র হলে সরকারি সহযোগিতা পাবো,বলতে পারেন? স্বামী হারানোর পর থেকে বার বার চেয়ারম্যান ও মেম্বারের দারস্থ হয়েছি কিন্তু আমার তাতে কোন লাভ হয়নি। “নবীর শিক্ষা করোনা ভিক্ষা, মেহেনত করো সবে” বাণীটি জানার পরেও কোন উপায় না পেয়ে। বাধ্য হয়ে ভিক্ষা করে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি। এখন আমার বয়স হয়ে গেছে আমি খুব অসুস্থ, ঠিকমত ভিক্ষা করতে যেতে পারি না। এই বয়সে মাঝে মধ্যে অনাহারে থেকে দিনাতিপাত করতে হয়। একটু যদি সরকারি সহযোগিতা পেতাম তাহলে আমার কষ্টটা একটু হলে ও কমে যেত। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা বলেন, ছখিনা খাতুন খুব গরীব মানুষ। তাকে বাদ দিয়ে ভোটের আসায় মেম্বারের মনোনিত বিত্তবান ব্যক্তিদের সাথে সখ্যতা রাখার জন্য বিভিন্ন ভাতার কার্ড দিয়ে থকেন। কিন্তু ছখিনার মত এই গ্রামে অনেক মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে তাদের কেন কার্ড হয়না কেন? এ ব্যপারে ইউপি সদস্য মোঃ আফছার উদ্দীনের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সঠিক কোন উত্তর না দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান। উল্লেখ্য ইতি পূর্বে ইউপি সদস্য মোঃ আফছার উদ্দীনের বিরুদ্ধে ভিজি এফ এর চাল আত্মসাৎতের অভিযোগে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল বলে এলাকাবাসি জানায়। সচেতন এলাকাবাসি দাবী তদন্ত করে প্রকৃত গরীবদের মাঝে ভাতার কার্ড বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্বামী হারানো ভিক্ষুক ছখিনার আকুতি, কত গরীব হলে সরকারি সাহায্য পাওয়া যায়
পূর্ববর্তী পোস্ট