নিজস্ব প্রতিবেদক: বাষট্টিলক্ষ টাকা ইজারা মূল্য দিয়ে ঝাউডাঙ্গা বাজার ইজারা নেওয়া ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমান রাজস্ব আদায়ে বিপাকে পড়েছেন। স্থানীয় বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম নেতৃত্ব দিয়ে বাজার অঞ্চলে মৎস আড়ৎ সৃষ্টি করে রাজস্ব আদায়ে বাধা দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করলেও তার কোন সুরাহা হয়নি।
ইজারাদার ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমান সাতনদীকে জানান, ‘১৪২৭ বাংলা সনে ৬২ লক্ষ টাকা ইজারা মূল্য দিয়ে ঝাউডাঙ্গা বাজার ইজারা নিয়েছি। বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম নেতৃত্ব দিয়ে বাজার অঞ্চলের মধ্যে ঝাউডাঙ্গা ফিলিং স্টেশনের অপজিটে ব্যাক্তি মালিকানাধীন মার্কেট তৈরী কের সেখানে মৎস আড়ৎ তৈরী করেছে। আব্দুল মান্নানের নিজস্ব জায়গায় গড়ে ওঠা ১৫টি মাছের আড়ৎ তৈরি করা হয়েছে।’ ইজারাদার মাসুদুর রহমান এই মাছের আড়তে খাজনা চাইলেও তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। এজন্য বছরে ছয়লক্ষাধিক টাকা খাজনা আদায় কম হবে। এতে করে ইজারাদার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
বিষয়টি প্রতিকার চেয়ে ইজারাদার মাসুদুর রহমান ২০ এপ্রিল উপজেরা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। ওই দিনই উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসিল্যান্ডকে পত্র দিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেন। কিন্তু দীর্ঘ এক মাস পেরিয়ে গেলেও প্রশাসনিকভাবে কোন নেয়া হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ বিএনপি নেতা ও সাবেক ঝাউডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নেতৃত্ব দিয়ে বাজারের বাইরে গিয়ে মৎস আড়ৎ তৈরি করেছে। আব্দুল মান্নানের জমিতে একই জায়গায় অবস্থিত ধানের গুদামের ব্যবসায়ীরা ইজারাদারকে খাজনা দিলেও মাছের আড়ৎ এর ব্যবসায়ীরা খাজনা দিচ্ছেনা।
এ ব্যপারে জেলা প্রশাসক সাতনদীকে জানান, ইজারাদার তার এরিয়ার মধ্যে থেকে খাজনা আদায় করবে। সে কেন সেখান থেকে (মাছের আড়ৎ) খাজনা আদায় করছেনা।
সরজমিনে জানা যায়, বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম, তার ভাই রবিউল ইসলাম ও আব্দুর রশিদ নাইম ফিস নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তারা নেতৃত্ব দিয়ে মৎস আড়ৎ পরিচালনা করছেন এবং ইজারাদারকে খাজনা দিচ্ছেনা। ওই আড়ৎ এর অপর ব্যবসায়ী মুন্না সাতনদীকে জানান, আমাদের নেতা রফিকুল ইসলাম বিষয়টি দেখভাল করছেন।
বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম সাতনদীকে জানান, প্রশাসন আমাদেরকে ডাকুক। তারা কোন নির্দেশনা দিলে তা মানবো।
৬২ লক্ষ টাকায় ঝাউডাঙ্গা বাজার ইজারা নিয়ে বিপাকে ইজারাদার
পূর্ববর্তী পোস্ট