দ্যুতি দীপন বিশ্বাস: সাতক্ষীরার সদরে উপজেলায় নির্বিচারে চলছে অতিথি পাখি শিকার। এক শ্রেণির পাখি শিকারীরা এই অতিথি পাখিদের আসাকে কেন্দ্র করে এবং তাদের অবাধ বিচরণে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্দুক এবং এয়ারগান দিয়ে নির্বিচারে এসব অতিথি পাখিকে হত্যা করা হয়।
প্রতি বছর শীতের শুরুতেই সাতক্ষীরার সদর উপজেলার বিভিন্ন একাকায় অতিথি পাখিদের আগমন ঘটে। শীত মওসুম জুড়েই দেখা যায় তাদের অবাধ বিচরন।শীতের মওসুমে যে অতিথি পাখি গুলো সাতক্ষীরা সদরে উপজেলার বিভিন্ন খাল- বিলে দেখা যায় তার ভিতরে সাদাবক, বাদিহাস, সারস, পানকৌড়ি অন্যতম এছাড়াও দেখা যায় নানান প্রজাতির রঙ বেরঙের দেশি-বিদেশি পাখি।এসময় খাল-বিলে থাকা চিংড়ি, পুটি সহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট ছোট মাছ খাওয়ার লোভেই অতিথি পাখিরা ঝাকে ঝাকে আসে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খাল-বিল গুলোতে। সদর উপজেলার ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউনিয়নের গোয়ালপোতার বিল,খড়িয়াডাঙার বিল,ধুলিহরের আছানডাঙার বিল,কোমরপুরের বিল, এল্লাচর, বকচরাসহ সদর উপজেলার একাধিক জায়গায় এরা আশ্রয় নেয়। পাখিদের একসাথে ডানা মেলে উড়ে যাওয়ার দৃশ্য মন কাড়ে সবার। কিন্তু একশ্রেণির স্বার্থান্বেষী চোরা পাখি শিকারীরা পাখির এমন অবাধ বিচরণে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক হতদরিদ্ররাও অভাবের তাড়নায় এই অতিথি পাখি শিকার করে থাকেন। তবে শিকারীদের বেশির ভাগই ব্যবসা ও শখের বশে অতিথি পাখি হত্যা করে থাকে। কেউ কেউ অতিথি পাখি শিকারে খুব সকালে যখন কুয়াশাঘন পরিবেশে পাখিরা খাবারের উদ্দেশ্যে এ সব স্থানে এসে বসে তখন চোরা শিকারীরা বন্দুকের গুলি ছুড়ে এদের হত্যা করছে। শুধু খালে-বিলে নয়, গাছে আশ্রয় নেয়া পাখিদের রাতের বেলায় টর্চ লাইট জ্বালিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। এই পাখি শিকারে শুধু বন্দুক বা ইয়ারগান না আরো ব্যবহারিত হচ্ছে অভিনব কায়দায় তৈরি পাখি মারার ফাদ বা এক ধরনের বিষ।
এ ব্যাপারে স্থানীয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধি বলেন, শীতের আগমনে এসব অতিথি পাখি গুলো সাতক্ষীরাতে আসে।আমরা এর আগে এরকম কয়েকটি সংবাদ পেয়েছিলাম।এবং সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উপজেলা প্রশাসন কে বলেছিলাম। যদি কোন শিকারী অতিথি পাখি শিকার করে তাহলে অবশ্যই তাকে শাস্তি প্রদান করা হবে। সে যেই হোক না কেনো।
এলাকার সুধীজন ও পাখি প্রেমিরা এসব অতিথি পাখিদের শিকারীদের হাত থেকে নির্বিচারে হত্যা বন্ধে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।